শিরোনাম

গুগলের ‘মনোপলি’ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ

লক্ষ্য ক্রোম ও অ্যান্ড্রয়েড

অনলাইন ডেস্ক
গুগলের ‘মনোপলি’ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ

গুগলের অনলাইন সার্চ ও প্রযুক্তি সেবা ব্যবসার একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগ। ডিস্ট্রিক্ট জাজ অমিত মেহতার কাছে দাখিল করা একটি প্রস্তাবে গুগলকে তার ওয়েব ব্রাউজার ক্রোম বিক্রি এবং পাঁচ বছরের জন্য নতুন ব্রাউজার বাজারে পুনঃপ্রবেশ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিচার বিভাগ বলছে, গুগলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্ট তাদের সার্চ ইঞ্জিন ও ব্রাউজার ব্যবস্থাকে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে শেয়ার করতে বাধ্য হলে বাজারে প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। প্রস্তাবে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো ডিভাইস নির্মাতাদের সঙ্গে গুগলের চুক্তি বাতিলের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। কারণ এসব ডিভাইসে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল থাকার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতা করার সুযোগ সীমিত হচ্ছে।

অগাস্ট মাসে বিচারক মেহতা রায় দেন, গুগল শেরম্যান আইনের ২ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে অনলাইন সার্চে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে। বিচার বিভাগের মতে, প্রস্তাব অনুমোদিত হলে গুগলের সার্চ ব্যবসায় বড় ধাক্কা আসবে এবং লাখো ব্যবহারকারীর তথ্য অনুসন্ধানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন ঘটবে।

গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ইতোমধ্যে আপিলের পরিকল্পনা করছে। গুগলের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট কেন্ট ওয়াকার জানান, "মানুষ আমাদের পণ্য ব্যবহার করে কারণ তারা সেগুলো ভালোবাসে। তবে এই প্রস্তাব গুগলের অনেক সেবা ও পণ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।"

বিশ্লেষণ বলছে, অনলাইন সার্চের প্রায় ৯০ শতাংশই গুগলের দখলে। স্মার্টফোন ও ব্রাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল রাখার জন্য ২০২১ সালে অ্যাপলসহ অন্যান্য কোম্পানিকে প্রায় ২,৬৩০ কোটি ডলার প্রদান করেছে গুগল।

বিচার বিভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য বলছে, এসব ব্যবস্থা গুগলের একচেটিয়া বাজার ভাঙতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিনগুলোর জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে।

এছাড়া প্রস্তাব অনুযায়ী গুগলকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জন্য ব্যবহৃত তথ্য শেয়ার করতে হতে পারে। তবে গুগল দাবি করেছে, এসব পদক্ষেপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খাতে নতুন উদ্ভাবনের পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে।

গুগলের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ মার্কিন প্রযুক্তি খাতের ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়া নজরদারির ইঙ্গিত। ইতোমধ্যে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা, অ্যামাজন এবং অ্যাপলের বিরুদ্ধে একাধিক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা করা হয়েছে।

বিচার বিভাগের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে প্রযুক্তি খাতে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং গুগলের একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য