-->

ডিআইজি প্রিজন্স পার্থের ৮ বছরের কারাদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক
ডিআইজি প্রিজন্স পার্থের ৮ বছরের কারাদণ্ড
ডিআইজি প্রিজন্স পার্থকে আদালতে তোলা হচ্ছে। (ফাইল ছবি)

ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিলেটের সাবেক কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিককে পৃথক দুটি ধারায় ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এরমধ্যে একটিতে ৫ বছর এবং আরেকটি ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ৫ বছর, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড। তবে দুইটা সাজা এক সাথে চলবে বলে রায় উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ডভোগ করতে হচ্ছে। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায় আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে।

ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। 

তার ৬৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এসময় আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আসামি পার্থ গোপাল বনিককে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তার কয়েক জন স্বজন এসময় আদালত কক্ষের সামনে ঘোরাঘুরি করলেও নিজেদের পরিচয় দেননি তারা। সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে এড়িয়ে গেছেন। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ভোরের আকাশকে  জানান ‘আমরা নিম্ন আদালতে ন্যায়বিচার পাইনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা  উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর সোমবার একই আদালতে দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন বিচারক নাজমুল আলম।

দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং ডিআইজি পার্থের পক্ষে  সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী যুক্তিতর্ক শেষ করেন।

এদিন শুনানিকালে ডিআইজি পার্থকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৪ নভেম্বর মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডিআইজি পার্থ।  গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

গত ৫ জুন পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন। ২ সেপ্টেম্বর পার্থ বণিকের জামিন বাতিল করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সেই আদেশ অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপাল বণিক বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠান। এদিকে মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে বদলি করে বিশেষ জজ আদালত-৪ এ পাঠানো হয়।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বছর ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। গত বছর গত ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

পার্থ গোপাল বণিক ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

মন্তব্য

Beta version