-->
শিরোনাম
ফগ লাইট কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিসি’র সাবেক জিএমের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিআইডব্লিউটিসি’র সাবেক জিএমের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
হাইকোর্ট

ফেরির ফগ লাইট কেনায় দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় বিআইডব্লিউটিসি’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক(জিএম) ক্যাপ্টেন শওকত সরদারের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন। জামিন আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জে কে পাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১০ কিলোমিটার দেখা যায় এমন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট ক্রয়ে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পরিচালক ও জিএমসহ ৭ কর্মকর্তার নামে গত ৫ জানুয়ারি  মামলা করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- বিআইডব্লিউটিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক (কারিগরি) ড. জ্ঞান রঞ্জন শীল, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ক্যাপ্টেন শওকত সরদার, মো. নুরুল হুদা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পঙ্কজ কুমার পাল, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (মেকানিক্যাল) ইঞ্জিনিয়ার মো. রহমত উল্লা, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) মেকানিক্যাল বিভাগের ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং মেসার্স জনি করপোরেশনের মালিক ওমর আলী।

মামলায় বলা হয়, বিআইডব্লিউটিসির ৬ কোটি টাকার ফগলাইট কিনতে ২০১৫ সালে আমেরিকায় যায় প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পরিচালক জ্ঞান রঞ্জন শীল, জিএম ক্যাপ্টেন শওকত সরদার ও নৌ-পরিহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পংকজ কুমার পাল। এই চার সদস্যের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন মাত্র একজন। এরপর ৬ কোটি টাকা দিয়ে ১০টি ফগ লাইট কেনা হয় যা ছিল নিম্নমানের। এছাড়া দেশে ফিরে গ্রীষ্মকালেই তারা এই ফগ (কুয়াশা) লাইট পরীক্ষা করেছে। মাওয়া আরিচা ফেরিঘাটে ফগ লাইট পরীক্ষা করার পর দেখা যায়, ৭ হাজার ওয়াটের ফগ লাইট কাজ করছে মাত্র ৩ হাজার ওয়াটের সমান। কিন্তু এর মধ্যে টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশন। তবে অনিয়ম ধরা পড়ায় আটকে দেওয়া হয় ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা। এরপর ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে জনি করপোরেশন। ওই রিট খারিজ করেন হাইকোর্ট। এরপরই মামলা করে দুদক।

মন্তব্য

Beta version