-->

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন, ২ বান্ধবী খালাস

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন, ২ বান্ধবী খালাস
প্রতীকী ছবি

প্রায় ১১ বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলার পাড় এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আরিফ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই স্কুলছাত্রীর দুই বান্ধবীসহ তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মিসেস মাহমুদা আক্তার।

তিনি জানান, চার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়। রায়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ের সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

খালাস পাওয়া তিন আসামি হলেন- স্কুলছাত্রীর দুই বান্ধবী ফাতেমা আক্তার শান্তা ও আরিফা আক্তার ইতি এবং শান্তার ভাই শিপন।

ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তার বাবা ২০১১ সালের ৬ আগস্ট চারজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন।

মামলার নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ জুলাই বিকেলে আরিফসহ চারজনের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর কথা কাটাকাটি ও তর্ক-বিতর্ক হয়। ৩ আগস্টে সন্ধ্যায় ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা ইন্টারনেটে আরিফের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কের দৃশ্য দেখতে পান।

পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে স্কুলছাত্রী জানায়, ৭ জুন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে দুই বান্ধবী শান্তা ও ইতি তাকে শান্তাদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খাওয়ার পর সে অচেতন হয়ে পড়ে এবং তার ঘুম ঘুম ভাব হয়। সকাল ১০ টার দিকে আরিফ শান্তদের বাসায় যায়। তারপর তাকে ধর্ষণ করে। অপর তিনজন সেই ছবি ধারণ করে। পরে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।

২০১২ সালের ৮ অক্টোবর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

মন্তব্য

Beta version