বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ।
বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ স্থগিতাদেশ দেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আপিল বোর্ড, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সেই সঙ্গে জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা যেন সৃষ্টি করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেন আদালত। জায়েদ খানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত সোমবার এ আদেশ দেয়।
বুধবার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন শিল্পী সমিতির অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। শুনানি শেষে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন কার্য করা হয়েছে।
ফলে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
সমিতির এই নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত আপিল বোর্ডের শনিবারের সভা শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা হারিয়েছেন জায়েদ খান।
তার পরিবর্তে এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয় চিত্রনায়িকা নিপুণকে।
আলোচিত এই নির্বাচন হয় গত ২৮ জানুয়ারি। সেদিন ভোটের পরপরই জায়েদের বিরুদ্ধে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন নিপুণ। তবে সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জায়েদ খান।
আপিল বোর্ডের শনিবারের ওই সিদ্ধান্তের ফলে শিল্পী সমিতির শীর্ষ পদে দুজনই হন একই প্যানেলের।
এর আগে এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মিশা সওদাগর।
মন্তব্য