-->

চট্টগ্রামের জিল্লুর ভাণ্ডারি হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

৬ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জন খালাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের জিল্লুর ভাণ্ডারি হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া এলাকার জিল্লুর ভাণ্ডারিকে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় দিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শহীদুল ইসলাম খোকন ও মো. ইসমাইল ওরফে পিস্তল ইসমাইল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে জসিম, আবু, কামাল, তোতা, নাছির ও সুমনের। খালাস পেয়েছেন জাহাঙ্গীর, রঞ্জু সাইফুদ্দিন, নাজিম ও আজিম।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসমাইল ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় দেওয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া আসামি জাহাঙ্গীরও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খোকন ও খালাস পাওয়া আসামি সাইফুদ্দিন, রঞ্জ, আজিম ও নাজিম আদালতে হাজির ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জিল্লুর ভাণ্ডারি হত্যা মামলায় ২০১৯ সালের ২৮ মে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার অভিযোগপত্রে মোট ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।’

২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছে জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লুর ভাণ্ডারিকে মারধরের পর গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার তিনমাস আগে জিল্লুর ভাণ্ডারির ভাই মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবলুকে কাতার নিয়ে যান আসামি ইসমাইলের ভাই মোহাম্মদ জব্বার। সেখানে যাওয়ার পর বাবলু বুঝতে পারেন, তার ভিসা নিয়ে জটিলতা আছে। এ নিয়ে বাবলুর সঙ্গে জব্বারের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাবলুর ভিসা বাতিল করে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন জব্বার।

২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে জব্বারের ভাই ইসমাইলকে রানিরহাট বাজারে পেয়ে জিল্লুর ভাণ্ডারি তার ছোট ভাইকে দেশে ফেরত পাঠানোর কারণ জানতে চান। এ সময় ভিসা বাবদ দেওয়া টাকা ফেরত চান জিল্লুর।

এ নিয়ে ইসমাইল ও জিল্লুর ভাণ্ডারির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন রাতে জিল্লুরকে একা পেয়ে মারধর করে আসামিরা। এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই তার মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

Beta version