-->
শিরোনাম

পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা অনুমোদন

ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ১৩টি মামলা অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সচিব জানিয়েছেন, ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড বি ট্রেডিং-এর নামে জাল রেকর্ডপত্রাদি প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক শুভ্রা রানী ঘোষকে ঋণ প্রদান করে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মঙ্গলবার পি কে হালদারসহ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালকবৃন্দ, এম ডি রাসেল শাহরিয়ারসহ ১৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে একটি মামলা রুজু করা হয়।

তিনি জানান, ফার্স্ট ফাইন্যান্স-এর সাবেক এমডি রাসেল শাহরিয়ারকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেন। মো. রাসেল শাহরিয়ার এমডি থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার একক স্বাক্ষরেই প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব বোর্ডে উপস্থাপন করে ঋণ অনুমোদন করেন এবং তা পি কে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানিতে স্থানান্তর করেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে আরো তথ্য উদ্ধারের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাকি ১২টি মামলা বুধবার (গতকাল) রুজু হতে পারে এবং এতে ৪৭৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হবে। ইতোমধ্যে ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান, বোর্ড সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুদক থেকে ১৩টি মামলার অর্থ আত্মসাতের পরিমাণের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অ্যান্ডবি ট্রেডিং-এর নামে ৪৪ কোটি টাকা; ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ৪৫ কোটি টাকা; নিউট্রিক্যাল-৩০ কোটি টাকা; এস এ এন্টারপ্রাইজ ৪২ কোটি টাকা; সুখাদা ৪০ কোটি টাকা; এমটিবি মেরিন ৪০ কোটি টাকা; হাল ইন্টারন্যাশনাল ৪৫ কোটি টাকা; স্বন্দীপ করপোরেশন ৪০ কোটি টাকা; দিয়া শিপিং ৪৪ কোটি টাকা; মুন এন্টারপ্রাইজ ৩৫ কোটি টাকা; বর্ণ ৩৮ কোটি টাকা; আরবি ৪০ কোটি টাকা এবং মেরিন ট্রাস্টের নামে ৪০ কোটি টাকাসহ সর্বমোট ৫২৩ কোটি টাকা।

মন্তব্য

Beta version