ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ড ও অডিট কমিটির কাজে সহযোগিতা করতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ভবন মালিক শেখ সালাউদ্দিন আহমেদকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
শেখ সালাউদ্দিন আহমেদকে একইসঙ্গে রিট মামলায় বিবাদী হিসাবে পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিটকারী ফরহাদ হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া আপত্তিকর পোস্টও রেকর্ডভুক্ত করেছেন আদালত।
আদালতে ভবন মালিকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ভবন মালিককে তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা শেয়ারের ৫০ শতাংশ শেয়ার রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও তার ভায়রাকে হস্তান্তর করার অনুমতি দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আইজি প্রিজন্সকে সহযোগিতা করতে বলা হয়।
ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন সেদিন জানান, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান জেলখানায় অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় পুরো হস্তান্তর প্রক্রিয়া জেলখানার মধ্যেই হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হবে। শেয়ারগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর তারা ইভ্যালি পুনর্গঠনের পাশাপাশি পরিচালনা বোর্ডকে সহযোগিতা করবেন।
তিনি বলেন, তিন মাস ধরে ইভ্যালির কেনাবেচা এবং পণ্য সরবরাহের কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের কোনো সংস্থান নেই। কিন্তু ব্যয় যথারীতি রয়েছে। ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধ রয়েছে। ফেসবুক পাতাতেও গত বছরের ১৮ অক্টোবরের পর নতুন কোনো আপডেট আসেনি।
ইভ্যালির এক গ্রাহকের আবেদনে হাইকোর্ট গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তীতে ইভ্যালির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল গ্রেপ্তার হবার পর প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার স্বার্থে গতবছর ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য