ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল৷ এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আকবর ভোরের আকাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে আদালত। ’
এদিন হাসান আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী যোবায়ের আহমেদ অব্যাহতির আবেদন করেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আকবর এর বিরোধিতা করে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা জানান আদালতে। শুনানি শেষে বিচারক আসামির কাছে জিজ্ঞাসা করেন তিনি দোষী, না নির্দোষ, এ সময় হাসান আল মামুন নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলাটিতে ২০২১ সালের ১৭ জুন ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে একই সংগঠনের নেতা নূরুল হক নুর ছাড়াও নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। এরপর গত ৩ নভেম্বর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত।২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে লালবাগ থানায় ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলায় হাসান আল মামুনের ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও মেসেঞ্জার গ্রুপে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনা হয়।
একই বাদী ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় আরেকটি ধর্ষণ মামলা করেন। যেখানে নাজমুল হাসান সোহাগ ও ডিজিটাল অপরাধের অভিযোগে হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সেই মামলাতেও নুরসহ চারজনেক অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
.jpg)
মন্তব্য