ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে মাল্টিমোড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাফসির মোহাম্মদ আউয়ালকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। ভবিষ্যতে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে তাকে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। তাফসির আউয়ালকে আরো বিদেশে থাকার অনুমদি দিতে করা আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন আদালত। তাফসির মোহাম্মদ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও মো. সাকিব মাহবুব। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন মানিক।
তাফসির আউয়াল গত বছর ৫ মে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য বিদেশ যান। কিন্তু তিনি এখনো দেশে ফেরেননি বলে জানা যায়। এ অবস্থায় আরো বিদেশে অবস্থানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। গতকাল এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
শুনানিতে তাফসির আউয়ালের আইনজীবী বলেন, তিনি (তাফসির মোহাম্মদ আউয়াল) বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে তাফসির আউয়ালের বর্তমান অবস্থান লিখিত আকারে জানাতে বলেছিলেন। এ আদেশে তার আইনজীবী লিখিতভাবে তার অবস্থান জানান। এরপর গতকাল এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ৩০ জানুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে যেসব বাংলাদেশি টাকা রেখেছেন, তাদের নামের তালিকা দাখিল করতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অর্থ পাচারকারী হিসেবে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যেসব বাংলাদেশির নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে ৬ মার্চের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে দুদক ও সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরও আগে প্যারাডাইস ও পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত সংস্থা বিএফআইইউ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নেওয়া পদক্ষেপ প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টকে জানায়।
মন্তব্য