যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৬ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
এজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন সুবহা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে
ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হয়নি। এরমাঝে সুবহা জানতে পারে ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে হয়েছে এবং
অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনাবাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ীর জন্য আরো ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরো
১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ী কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত
৮টার দিকে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরদিন আবারো ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চায়। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে কিল-ঘুষি-লাথি ও চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সাথে ঠুকে জখম করে। সুবহা
অজ্ঞান হয়ে যায়। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এদিকে সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
.jpg)
মন্তব্য