-->

মাদক মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য

আদালত প্রতিবেদক
মাদক মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য
পরীমনির ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাদী মজিবর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে এই সাক্ষী তার সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীর জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ২৯ মার্চ মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মামলায় গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হোসেন হাওলাদার।

পরীমনিসহ তিন আসামিই জামিনে রয়েছেন। পরীমনি এদিন আদালতে হাজির হননি। তিনি তার আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর মাধ্যেমে হাজিরা দেন।

পরীমনি ও কবীর হাওলাদার পক্ষে বাদীকে জেরা করেন আইনজীবী মো. মাজেদুর রহমান মামুন। কবীর হাওলাদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে আংশিক জেরা করেন এই আইনজীবী। এরপর পরীমনির পক্ষে অবশিষ্ট জেরার জন্য সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ দেন।

অপর আসামি পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে বাদীকে জেরা করেন আইনজীবী এস. এম. আখতারুজ্জামান হিমেল।

মামলায় গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।

এরপর ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকাল ৪টার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর পরীমনিকে ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট দুইদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৯ আগস্ট তাকে আরো একদিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন কারামুক্ত হন আলোচিত এই অভিনেত্রী।

মন্তব্য

Beta version