-->

পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত
পরীমনির ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে মামলায় নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১ মার্চ) এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না।

এর আগে মঙ্গলবারই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী মজিবর রহমান পরীমনিসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীর জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ২৯ মার্চ মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।

মাদক মামলা বাতিল চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। আবেদনে এ মামলায় নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। পরীমনির করা আবেদনের ওপর গতকাল সোমবার হাইকোর্টে শুনানি সম্পন্ন হয়। এ কারণে আদালত আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন।

মামলায় গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন নিম্ন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন-পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হোসেন হাওলাদার।

পরীমনিসহ তিন আসামিই জামিনে রয়েছেন। পরীমনি এদিন নিম্ন আদালতে হাজির হননি। তিনি তার আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর মাধ্যমে হাজিরা দেন।

পরীমনি ও কবীর হাওলাদার পক্ষে বাদীকে জেরা করেন আইনজীবী মো. মাজেদুর রহমান মামুন। কবীর হাওলাদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে আংশিক জেরা করেন এই আইনজীবী। এরপর পরীমনির পক্ষে অবশিষ্ট জেরার জন্য সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ দেন।

অপর আসামি পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে বাদীকে জেরা করেন আইনজীবী এস. এম. আখতারুজ্জামান হিমেল।

গত বছর ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধারের তথ্য জানায় র‌্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমনিকে। রিমান্ড শেষে গত বছর ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয় আলোচিত এই অভিনেত্রীকে ।

মামলায় গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

এর আগে গতবছর ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমনির জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে আদেশ দেন। ১ সেপ্টেম্বর রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এই রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত গত বছর ৩১ আগস্ট পরীমনির জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি।

মন্তব্য

Beta version