-->

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৬ এপ্রিল

আদালত প্রতিবেদক
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৬ এপ্রিল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৬ মার্চ) মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া সুস্থ না থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

এজন্য আসামির পক্ষে তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। পরে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলাম নতুন তারিখ ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ গঠনের শুনানি নিয়ে ভোরের আকাশকে বলেন, এ মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত ছিল। স্থগিতাদেশ খারিজ হওয়ার পর এ আদালতে মামলাটি আসে সেটাও তিন বছরের বেশি সময় আগে।

এ আইনজীবী আরও বলেন, এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে করা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের করা মামলা বাতিলের আবেদনের রুল খারিজ করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিলেন।বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন।

ফলে বর্তমানে এ মামলার আসামি এখন ১০ জন। তারা হলেন-খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।

মন্তব্য

Beta version