-->
শিরোনাম
সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা

ব্যারিস্টার হুদার অভিযোগ শুনানি ৬ এপ্রিল

আদালত প্রতিবেদক
ব্যারিস্টার হুদার অভিযোগ শুনানি ৬ এপ্রিল

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা হাইকোট ও আপিল বিভাগ থেকে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি চতুর্থ বারের মতো পিছিয়ে গেছে।

সোমবার (৭ মার্চ) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান আগামী ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য আবারো তারিখ রাখেন।

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর, ১৬ জানুয়ারি , ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। সোমবার তিনি আদালতে আসলেও তার আইনজীবী

মো. এহসানুর রহমানের মাধ্যমে হাইকোট ও আপিল বিভাগ থেকে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি পাননি বলে অভিযোগ গঠনের জন্য সময় চান। গত ১৩ ডিসেম্বরে মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালতে যাওয়ায়

ব্যারিস্টার নাজমুল স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছিলেন। এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।  ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে

মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি

টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে। দেড় বছর তদন্ত করে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার

মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা মর্মে প্রমাণিত হয়েছে দুদকে। আর মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করে দুদক।

মন্তব্য

Beta version