-->

২ হাজার কোটি টাকা পাচার: দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু

আদালত প্রতিবেদক
২ হাজার কোটি টাকা পাচার: দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে দুই ভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হয়েছে। সোমবার (০৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এই শুনানি হয়।

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত ) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছে।

আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন আংশিক শুনানি করেন।

তবে শুনানি শেষ না হওয়ায় আগামী ২৪ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আদালত।

মামলার অভিযোগপত্রে অপর ৮ আসামিরা হলেন-ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন অনুযায়ী-ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম এবং মো. জাফর ইকবাল, ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন এবং গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু অব্যাহতি পেয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে রুবেল, বরকত, লেভী ও ফারহান কারাগারে রয়েছেন। অপর ৬ আসামি পলাতক।

নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।

২০২০ সালের ২৬ জুন দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।

এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বরকত ও রুবেল অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

 

মন্তব্য

Beta version