-->
শিরোনাম

ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা: যুক্তিতর্ক ২৭ মার্চ

আদালত প্রতিবেদক
ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা: যুক্তিতর্ক ২৭ মার্চ
ড. হুমায়ুন আজাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৭ মার্চ তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।

বুধবার (৯ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন এই তারিখ ধার্য করেন। এদিন পলাতক দুই আসামি সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ।

তবে আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ২৭মার্চ নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাঁকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

ঘটনার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

এরপর ২২ দিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং ৪৮দিন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ুন আজাদ। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।

২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার আসামিরা হলেন-জেএমবি'র শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।

মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে এবং সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক রয়েছেন। হাফিজ মারা গেছেন।

এ মামলায় জেএমবি'র শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য দেন।

মন্তব্য

Beta version