-->
শিরোনাম
নাশকতার মামলা

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ

আদালত প্রতিবেদক
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ

আদালতে সাক্ষী আনতে না পারায় ২০১৫ সালের মিরপুর মডেল থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ তৃতীয় দফায় পিছিয়ে গেছে।

রোববার ( ১৩ মার্চ) ঢাকার ১৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিলো।

বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকা এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৭ মে নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন সকালে মামুনুল হকসহ কারাগারে থাকা অন্যান্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

মামুনুলের আইনজীবী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আদালতে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী আনতে ব্যর্থ হচ্ছে বার বার। তিনি সাক্ষী আনার ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেন পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষকে।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানাধীন ৩৫২/২ মধ্যে পীরেরবাগ, মিজান জেনারাল স্টোরের সামনে ৬০ ফিট পাকা রাস্তায় উপর

বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের পূর্ব পরিকল্পনায় দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষে লাঠি-সোটা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং গাড়ি ভাংচুর করিয়া অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

এই ঘটনায় মিরপুর মডেল থানার এএসআই খন্দকার রাজিব আহমেদ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে মওলানা মামুনুল হক, বিএনপি নেতা নাঈম চৌধুরী, ইউসুফ মিয়া, মাহাবুব আলমসহ আরো অজ্ঞাত ৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

২০১৫ সালের ৩১ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম মওলানা মামুনুল হকসহ ৬৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রে ৪০ নং আসামি হচ্ছেন মামুনুল হক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন ভোরের আকাশকে জানান, ‘অভিযোগপত্র দাখিলের পর কয়েকটি আদালত বদলী হয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে এখন পর্যন্ত একজনেরও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।’

মন্তব্য

Beta version