-->
শিরোনাম

ভোজ্যতেলসহ খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোজ্যতেলসহ খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
সয়াবিন তেল (ফাইল ছবি)

ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য সব আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সিন্ডিকেট ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেল মজুত করার অভিযোগে আটকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এ আদেশ দেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও একটি মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও আবুল কালাম খান দাউদ।

অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন আদালত।

রুলে বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য দায়ী ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এর অধীনে একটি প্রবিধান প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না; রেশন কার্ডের (ওএমএস) মাধ্যমে তেল, পেঁয়াজ, আটা, চাল, গম, চিনি ও ডালসহ সব নিত্যপণ্য সাধারণ জনগণের মাঝে বিতরণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষণের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব, টিসিবির চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এফবিসিসিআই সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীরসহ তিন আইনজীবী সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন ও বেআইনিভাবে অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা চেয়ে ৬ মার্চ এই রিট আবেদন দাখিল করেন।

রিট আবেদনকারী অপর দুই আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট মনির হোসেন ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ। রিট আবেদনে আটজনকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের নজরে আনেন তিন আইনজীবী। তবে আদালত আইনজীবীদের রিট আবেদন করার পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেন।

এদিকে ১৪ মার্চ ভোজ্যতেলে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন আদেশ অনুসারে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হয়েছে।

মন্তব্য

Beta version