-->

মঞ্জুর হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য ১৬ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মঞ্জুর হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য ১৬ মে
মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর। ফাইল ছবি

মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মে নতুন তারিখ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনার আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। তিনি উপস্থিত না হওয়ায় আদালত নতুন তারিখ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মামলার প্রধান আসামি ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ (এইচএম) এরশাদ। এরশাদ ও অপর আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফের মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস।।

রোববার কাজী এমদাদুল হক ও মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতে হাজিরা দেন। অপর আসামি শামসুর রহমান শামসের পক্ষে উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। ওই ঘটনার পর পুলিশের হাতে আটক হন জেনারেল মঞ্জুর। পুলিশ হেফাজত থেকে ১ জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নেওয়ার পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলাটি করেন।

মামলায় ১৯৯৫ সালে ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলা করার ১৯ বছর পর বিচার কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছালেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়।

২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন ১০ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তাকে বদলি করা হয়। বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ। তার আগে ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলার বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

আলোচিত এ মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

মন্তব্য

Beta version