-->

মডেল তিন্নি হত্যা মামলা: চাচার সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মডেল তিন্নি হত্যা মামলা: চাচার সাক্ষ্য গ্রহণ
মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি

মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় তার চাচা সৈয়দ রেজাউল করিমের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংসদ গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বুধবার (২৩ মার্চ) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর কাছে তিন্নির চাচা সাক্ষ্য দেন। আগামী ১৭ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত ভোরের আকাশকে জানান, মামলায় তিন্নির চাচা রেজাউল করিম সাক্ষ্য দিয়েছেন। যে ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয় সমর্থন করে তিনি বর্ণনা দিয়েছেন। আজ আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি মোজাম্মেল হকের কাছে ইমন নামের এক সাক্ষী বলেছেন, কীভাবে অভি তিন্নিকে হত্যা করেছে। এ কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হককে দরকার।

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম সাক্ষ্য দেন।

মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি। বিদেশে পলাতক রয়েছেন তিনি।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশ শনাক্ত করে।

২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান। এরপর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।

মন্তব্য

Beta version