-->

তারেকের পিএস অপুর মামলার শুনানি ১০ মে

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা
তারেকের পিএস অপুর মামলার শুনানি ১০ মে
প্রতীকী ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুসহ ৭ জনের মামলায় শুনানির জন্য আগামী ১০ মে দিন ধার্য করেছে আদালত।

বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান শুনানির এই দিন ধার্য করেন।এদিন পলাতক তিন আসামি আতিকুর রহমান আতিক, মো. মাহমুদুল হাসান ও ফয়েজুর রহমানের আদালতে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে দুটি পত্রিকার মধ্যে একটির বিজ্ঞপ্তিতে ভুল থাকায় পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

পত্রিকার কপি আগামী ১০ মে এর মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির ভোরের আকাশকে এসব তথ্য জানান।

২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র‌্যাব -৩ এর ডিএডি (নায়েব সুবেদার) বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়েরে করেন। মামলায় ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ২০১৩ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৭/৩০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মতিঝিল সিটি সেন্টারে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড কর্পোরেশন অফিসে বিপুল পরিমান অর্থ মজুদের অভিযোগ পায় র‌্যাব-৩। সেই সংবাদ পেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে এ এম হায়দার আলীকে আটক করে র‌্যাব।

এ সময় তার কাছ থেকে তিন কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করে র‌্যাব। একই কাজে ব্যবহারের জন্য আরও ৫ কোটি টাকা ‘মানিটারি এক্সপ্রেস’ অফিসে রেখে আসার কথা স্বীকার করেন তিনি।

এ ঘটনায় ছয় জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা হলেন-এ এম আলী হায়দার নাফিজ, জয়নাল আবেদীন, মো. আলমগীর হোসেন, মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু, আতিকুর রহমান আতিক ও মো. মাহমুদুল হাসান। পরে অভিযোগপত্রে এই ছয় জনের সঙ্গে মো. ফয়েজুর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়।

নুরউদ্দিন আহমেদ অপু তারেক রহমানের পিএস ও শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন।

আসামিদের মধ্যে আতিকুর রহমান আতিক ও মো. মাহমুদুল হাসান শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। আর ফয়েজুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক হন। ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নাফিজ।শুনানিকালে অপুসহ কারাগারে থাকা বাকি চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।এ মামলায় ২০২১ সালের ১৩ জুন ৭ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে র‌্যাব। একই বছর ১২ আগস্ট মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়ে আসে। ট্রাইব্যুনাল ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মন্তব্য

Beta version