-->
শিরোনাম
অবৈধ সম্পদের মামলা

সম্রাট অসুস্থ, পেছাল অভিযোগ গঠনের শুনানি

আাদালত প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্রাট অসুস্থ, পেছাল অভিযোগ গঠনের শুনানি
সম্রাটকে গত ২২ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। ছবি- ভোরের আকাশ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৩ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

সম্রাট পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ভোরের আকাশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। এজন্য বিচারক অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হয়নি। আদালত তার উপস্থিততে শুনানির জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন।’

গত ২২ মার্চ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত সম্রটের উপস্থিততে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোর কারবার পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডির উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

মন্তব্য

Beta version