সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত নাজমুল হুদার অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৭ মে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত। শুনানির সময় নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী এমএ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং ভোরের আকাশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছর ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এসকে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে।
দেড় বছর তদন্ত করে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা মর্মে প্রমাণিত হয় দুদকের। এ পরিস্থিতিতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করে দুদক।
মন্তব্য