-->
শিরোনাম

ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল

ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার বা হাজতবাসের কারণে কোনো সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (৬ এপ্রিল) এ রুল জারি করেন।

শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডেপুটি পরিচালক (ঢাকা বিভাগ), ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সদরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সদরপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ফরিদপুরের সদরপুর থানার চর চাঁদপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ আজিজ খানের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের।

২০১০ সালের সদরপুর থানার একটি ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় তিনমাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন শিক্ষক এম. এ. আজিজ খান। এই হাজতবাসের কারণে ২০১৩ সালে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সরকারি চাকরিবিধি ১৯৭৩ এর পার্ট ১,বিধি ৭৩ এর নোট ১ অনুযায়ী তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মামলাটি এখনও নিষ্পত্তি না হওয়ায় ওই শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রয়েছে। তবে নিয়মানুযায়ী তিনি খোরপোষ ভাতা পাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিবিধি ১৯৭৩, পার্ট ১, বিধি ৭৩ এর নোট ২, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আবেদনকারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী দাবি করে রিট আবেদন করেন ওই শিক্ষক।

আদালতে শুনানিতে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপরাধী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা আইন বিজ্ঞানের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত চাকরির অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো কার্যধারা গ্রহণ ছাড়া অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আবেদনকারীকে সাময়িক বরখাস্তের অধীন রাখা সংবিধানের ৩১ ও ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ পরিপন্থী।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিবিধি-১৯৭৩ এর বিধানটি নিপীড়নমূলক এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

মন্তব্য

Beta version