-->
শিরোনাম

দুর্নীতির মামলায় সাহেদের বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক
দুর্নীতির মামলায় সাহেদের বিচার শুরু
সাহেদ করিম

অবৈধভাবে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একজন বিশেষ জজ।

রোববার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

আগামী ২০ মে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রাখা হয়েছে বলে ভোরের আকাশকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

এ আইনজীবী জানান, বিচারক অভিযোগ পড়ে শোনালে সাহেদ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি ন্যায়বিচার চান।

এ সময় তার পক্ষে করা অব্যাহতি ও জামিন আবেদন নাকচ করেন বিচারক।

শুনানিতে অভিযোগ গঠনের পক্ষে বক্তব্য রেখে জামিন আবেদন নাকচের প্রার্থনায় আইনজীবী জাহাঙ্গীর বলেন, সাহেদ একজন 'হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার'। তার আবেদন নাকচ করা হোক।

দীর্ঘ কারাবাস ও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার কয়েকজন আইনজীবী এ মামলায় জামিন চান।

অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তারা বলেন, মামলার ঘটনা মিথ্যা। তার এত সম্পদ নেই। তিনি তথ্যও ফাঁকি দেননি।

এ সময় সাহেদের আইনজীবীরা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানের বদলে বিশেষ গাড়িতে করে আলাদাভাবে তাকে আদালতে আনার আবেদন করেন। তবে সে আবেদনে বিচারক সায় দেননি বলে জানান দুদকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর।

নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয় দুদক।

দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে সাহেদের বিরুদ্ধে ৩৬টির বেশি মামলা দায়ের হয়। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এর আগে ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট চেক জালিয়াতির মামলায় সাহেদের ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল।

গত ৭ এপ্রিল দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং সাহেদ করিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১২ মে ধার্য করে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ।

সেদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের উদ্দেশে সাহেদ বলেন, 'আমাকে জামিন দেন। মামলার কারনে আমার বউ বাড়ির বাইরে যেতে পারে না। মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে।'

মন্তব্য

Beta version