জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছে ঢাকার একটি আদালত।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ঢাকার আরেক মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১১ মে (ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩৪২ ধারায়) আসামিদের পরীক্ষার করার জন্য তারিখ ধার্য করা হয়।আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ভোরের আকাশকে এ তথ্য জানান।
এ আইনজীবী বলেন, মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। অভিযোগপত্রে অপর আসামিরা হলেন-সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা এবং বিপ্লব দাস। বর্তমানে সকলেই কারাগারে রয়েছেন।
নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫ টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত বছরের ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
মন্তব্য