ফারুকী হত্যা: মুফতি কাজী ইব্রাহীমের জামিন নাকচ

আদালত প্রতিবেদক
ফারুকী হত্যা: মুফতি কাজী ইব্রাহীমের জামিন নাকচ

টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলায় ইসলামী বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমের জামিনের আবেদন নাকচ করেছে ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করেন।

কাজী ইব্রাহীমের আইনজীবী শওকত উল্লাহ চৌধুরী জামিন শুনানিতে বলেন,গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আলোচিত ফারুকী হত্যা মামলায় কাজী ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। সামাজিক, আর্থিক, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার ১২ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কোনো আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম বলেননি। দুই মাসের অধিক সময় ধরে এ মামলায় কারাগারে আছেন কাজী ইব্রাহিম। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি ভোরের আকাশকে জানান।

২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে কাজী ইব্রাহীমকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি ওই বছর ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে প্রতারণার অভিযোগে কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে। দুই দিন পর ২৯ সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ফারুকী হত্যা মামলায় ৫০ বারের অধিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় নিয়েছে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা। এখন মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির বিশেষ সুপার রাজী। 

মন্তব্য