-->

ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলা: চার আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলা: চার আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

সিলেটের বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) নথি এখন হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী বিচারিক আদালতের দেওয়া কোনো মৃত্যুদ-ের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠাতে হয়। এ কারণে সিলেটের আদালত থেকে চার আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।

নিয়মানুযায়ী, এখন নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র আবুল খায়ের ওরফে রশীদ আহমেদ হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন। বাকি তিন আসামি পলাতক থাকায় আপিল করতে পারবেন না। তবে তারা আত্মসমর্পণ করলে কিংবা তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে তবেই কেবল তারা আপিল করার সুযোগ পাবেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তদের মধ্যে যারা আপিল করবেন তাদের আপিল ও নিম্ন আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্সের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হবে।

সিলেটের বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চার যুবককে মৃত্যুদ- দিয়ে গত ৩০ মার্চ রায় দেন সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে মৃত্যুদ- পাওয়া চার আসামি হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫) ও খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বীরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) এবং কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের ওরফে রশীদ আহমদ (২৫)।

এই চারজনের মধ্যে একমাত্র আবুল খায়ের কারাবন্দি। অন্য তিনজন পলাতক। এছাড়া সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমানকে (৩০) খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে হত্যা করা হয় অনন্তকে। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। তিনি বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।

মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৯ মে ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর বিচার শুরু হয়। বিচার কালে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর কারাবন্দি আসামি কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) মারা যান। এ কারণে ইয়াহিয়াকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অপর ৫ আসামির মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড একজনকে খালাস দিয়ে গত ৩০ মার্চ রায় ঘোষণা করা হয়।

মন্তব্য

Beta version