-->
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী বিরোধ

জায়েদ-নিপুনের মামলার শুনানি পেছালো

নিজস্ব প্রতিবেদক
জায়েদ-নিপুনের মামলার শুনানি পেছালো
নিপুন আক্তার ও জায়েদ খান (ফাইল ফটো)

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে কে বসবেন, নিপুন আক্তার নাকি জায়েদ খান?

সে বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি পিছিয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৫ জুন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ সোমবার (২৩মে) এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথী।

নিপুনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

এর আগে গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ সাধারণ সম্পাদক পদে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ও স্থিতাবস্থার আদেশ কঠোরভাবে মেনে চলতে নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানকে নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে চার সপ্তাহের জন্য শুনানি মূলতবি করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২৫ এপ্রিল এক আদেশে শুনানি ২৩ মে পর্যন্ত মূলতবি করেন।

এ অবস্থায় গতকাল নির্ধারিত দিনে মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসলে আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে গত ২৮ জানুয়ারি।

ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয় ২৯ জানুয়ারি। ভোট গণনা শেষে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সভাপতি ও জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এরপর থেকে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন নিপুন।

তিনি ফল ঘোষণায় কারচুপির অভিযোগ আনেন। এরপর ওই ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেন।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজ সেবা অধিদপ্তর আপিল বোর্ড গঠন করে। এই আপিল বোর্ড গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে নিপুনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করে।

এরপর ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুন শপথ নিয়ে সমিতির চেয়ারে বসেন। এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন জায়েদ খান।

এই রিট আবেদনে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নিপুনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন।

একইসঙ্গে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।

আদালতের এই আদেশের পর সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন নিপুন। এর পরই তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে।

পরবর্তীতে আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চেম্বার জজ আদালতের আদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন।

একইসঙ্গে হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ মার্চ হাইকোর্ট এক রায়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিনেতা জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন।

এ রায়ের পর ওই রাতেই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন জায়েদ খান। এরপর নিপুন আক্তারের করা আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি গত ৬ মার্চ এক আদেশে হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন ও স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।

এ ছাড়া নিপুন আক্তারের আবেদনের ওপর ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।

এই আদেশের পর ওইদিনই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন নিপুন আক্তার।

এ কারণে নিপুনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান। এ আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

মন্তব্য

Beta version