সরকারি সার্ভার তথা ডাটাবেজ থেকে সাত কোটি মানুষের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য গায়েব হবার ঘটনা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সংশ্লিষ্ট পরিচালককে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৯ মে) এ আদেশ দেন।
আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী গতকাল নিজেই শুনানি করেন।
রুলে জন্ম-মৃত্যু সনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে জনগণ যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা এবং উদাসীনতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে সার্ভার থেকে বিশাল পরিমাণ ডাটা গায়েব হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত না করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং একইসঙ্গে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০১৮ এর রুল-১৯ অনুযায়ী বিবাদীদের কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রায় সাত কোটি মানুষের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সনদ গায়েব হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সংসাবদ মাধ্যম বিবিসি বাংলা এবং বাংলাদেশের একাধিক সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মূলত বছরের শুরুতে প্রায় চার কোটি স্কুল শিক্ষার্থীর ডিজিটাল ইউনিক আইডি তৈরির কাজ করতে যে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়।
তবে জন্ম নিবন্ধনের নতুন নিয়মে শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করতে হলে তার পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতা তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ আনতে যেয়ে দেখতে পান তাদের তথ্য ডাটাবেজ থেকে গায়েব হয়ে গেছে।
এই সময়ই তথ্য প্রকাশিত হয় যে, সার্ভার থেকে প্রায় সাত কোটি সনদের তথ্য গায়েব হয়ে গেছে।
এরপর এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
মন্তব্য