দুর্নীতি দমন কার্যক্রম আরো গতিশীল করাতে দেশের ১২ জেলায় নতুন কার্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এসব কার্যালয়ে মোট ২৪টি জেলা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন ১২টিসহ এনিয়ে মোট ৩৬টি সমন্বিত জেলা কার্যালয় স্থাপন করে কমিশন। আগামী ৩ জুলাই নতুন কার্যালয়গুলো উদ্বোধন করা হবে। মঙ্গলবার (২১ জুন) দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক ব্রিফিং-এ তথ্য জানান দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
যে ১২ জেলায় দুদকের কার্যলয় : নারায়ণগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ), গাজীপুর (গাজীপুর ও নরসিংদী), গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর (জামালপুর ও শেরপুর), নওগাঁ (নওগাঁ ও জয়পুরহাট), কুড়িগ্রাম (কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট), চাঁদপুর (চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর), বাগেরহাট (বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা), ঝিনাইদহ (ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা) ও পিরোজপুর (পিরোজপুর ও ঝালকাঠি) সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি কক্সবাজারে (কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলা) এবং ৩০ মার্চ থেকে মাদারীপুরে (মাদারীপুর ও শরীয়তপুর) কার্যালয় চালু করে দুদক।
দুদক সচিব জানান, বর্তমানে দুদক মোট ৩৬ জেলায় জেলা কার্যালয় বা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ফলে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে ১১৩ জন নতুন সহকারী পরিচালক ও ১৩৭ উপসহকারী পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা দুদকে যোগদান করেছেন এবং তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ফলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে দুদক পূর্ণোদ্যমে কাজ চালিয়ে যাবে। দুদকের অফিস থাকায় জেলাগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি দমন কার্যক্রম আরো জোরদার হবে।
তিনি জানান, দুদকের সাংগঠনিক কাঠামোর পরিসর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের তিন বছর পর তা কার্যকর হতে চলেছে। গত ৬ অক্টোবর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নিয়ে কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণা আসে। এরপর গত ১ নভেম্বর আরও ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন ও চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্তব্য