খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষককে অপসারণ এবং এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ রায় দিয়েছেন। তিন শিক্ষকের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
ওই তিন শিক্ষক হলেন- বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর কারণে গতবছর ২৩ জানুয়ারি খুবি সিন্ডিকেট সভায় বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজলকে বরখাস্ত এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলমকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি তিন শিক্ষককে চিঠি দেয়া হয়। এই চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে ওই বছরের ৩১ জানুয়ারি খুবি ভিসি, প্রোভিসি, রেজিস্ট্রারসহ ১০ জনকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে তিন শিক্ষকের বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ প্রত্যাহার করতে বলা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করেন ওই তিন শিক্ষক। এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন। রুলে তিন শিক্ষককে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ নয় তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে তিনজনকে বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেন। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য