-->
আবেদন খারিজ

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলবে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলার পক্ষে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত কার্যক্রম চলতে বাঁধা থাকলো না।

 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রোববার এ আদেশ দেন। শহিদুল আলমের করা লিভ টু আপিল(আপিল করার অনুমতি) আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

 

এর আগে হাইকোর্ট গতবছর ১৩ ডিসেম্বর এক রায়ে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে শহিদুল আলম লিভ টু আপিল আবেদন করেন।

 

শহিদুল আলমের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্িত আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সংবিধানের ৩১ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন তা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিনমাসের জন্য স্থগিত করেন। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে রুলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় এই রুলের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে গতবছর ১৩ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।

 

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেন ড. শহিদুল আলম। সেখানে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের বিষয়ে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন। একইসঙ্গে ২০১৮ সালের ৪ ও ৫ আগষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লাইফে বক্তব্য দেন। এরই প্রেক্ষাপটে ওই বছরের ৫ আগষ্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে ড. শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।

 

এ মামলায় ৬ আগষ্ট তাকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগষ্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তিনি ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি আইসিটি আইনে করা মামলার বৈধতা নিয়ে রিট আবেদন করেন।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version