-->
আবেদন খারিজ

আজও ফখরুল-আব্বাসের জামিন হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আজও ফখরুল-আব্বাসের জামিন হয়নি

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আবারো খারিজ করা হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন বৃহষ্পতিবার বিএনপির ওই দুই কেন্দ্রীয় নেতার জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এনিয়ে সিএমএম আদালতে ওই দুই নেতার জামিন আবেদন তিনবার খারিজ হলো।

 

এর আগে গত ৯ ও ১২ ডিসেম্বর ওই দুই নেতার জামিন আবেদন খারিজ করা হয়। এরপর বুধবার(১৪ ডিসেম্বর) সিএমএম আদালতে বিশেষ জামিন আবেদন করা হয়। এই আবেদনের ওপর গতকাল শুনানি শেষে তা খারিজ করা হয়েছে। বিএনপি নেতাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।

 

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বিএনপিকর্মী মকবুল হোসেন। সাংবাদিক-পুলিশসহ আহত হন অর্ধশতাধিক। সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা সকলেই বিএনপির নেতাকর্মী।

 

ওই ঘটনায় সেদিনই নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই মামলায় ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সোয়া তিনটায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯ ডিসেম্বর তাদের ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১১ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে তাদের জামিন আবেদন করা হয়। পরদিন ১২ ডিসেম্বর জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়া হয়।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version