চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বাবু, বাবুল ওরফে চায়না বাবুল, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, খায়রুল বাশার এবং সুমন ওরফে পাতলা সুমন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি সবাইকেই ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্তাদের মধ্যে প্রথম দুজন আদালতে হাজির হন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ বিষয়ে পড়তেন। পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি। ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকেলে ডেমরার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন বিপু। সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যান। এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানান, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। চার্জশিটভুক্ত ৩০ সাক্ষীর মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য