বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে দুই মাস কারাগারে থাকার পর আমাতুল্লাহ বুশরা মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার জানান, আদালতের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে বুশরাকে দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কারামুক্তির পর আমাতুল্লাহ বুশরাকে তার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম নিয়ে যান। এর আগে রবিবার (০৮ জানুয়ারি) ফারদিন নুর পরশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন দায়রা জজ আদালত।
জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে বুশরার পক্ষে জামিন শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। ওইদিন জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল ও আব্দুর রহমান হাওলাদার।
পরে রবিবার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসীন ইফতেখার তার জামিন মঞ্জুর করেন। ৪ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে বান্ধবী বুশরাকে নামিয়ে দেওয়ার পর নিখোঁজ হন ফারদিন।
এ ঘটনায় তার সন্ধান দাবিতে রামপুরা থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পায় নৌপুলিশ। ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক, তার পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি ছিল, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে।
ফারদিন নূর পরশকে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে তার বাবা মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় বুশরাকে। দুদিন পর ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৬ নভেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য