বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আয়েশা আক্তার মিন্নির জামিনের আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই অপারগতা প্রকাশ করেন। মিন্নির পক্ষে গতকাল আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
গত বছর হাইকোর্টে মিন্নির জামিন আবেদন দাখিল করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। এর আগে ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর নি¤œ আদালতের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মিন্নি। আপিল আবেদনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ২১ যুক্তিতে খালাস চেয়েছেন তিনি।
এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে করা অর্থদন্ডের সাজা স্থগিত করেছেন।
শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এক রায়ে নিহতের স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়। একই সঙ্গে চারজনকে খালাস দেয়। ৩ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এর পরদিন আসামিদের মৃত্যু্দন্ড অনুমোদনের জন্য ৪ অক্টোবর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়।
এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত রিফাতের পিতা আব্দুল আলিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আসামি করা হয়।
মিন্নিকে ওই বছরের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার করলেও হাইকোর্ট ২৯ আগস্ট এক রায়ে মিন্নির জামিন মঞ্জুর করেন। এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়।
ওই দিনই পুলিশ মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির ক্ষেত্রে একটি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মিন্নি ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ ছাড়া হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এ কারণে তাকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়নি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য