-->
শিরোনাম
আপিল বিভাগে শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি

জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন প্রশ্নে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন প্রশ্নে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়নি

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জি এম কাদের) দায়িত্ব পালন প্রশ্নে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়তুর রহিম। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে জিয়াউল হক মৃধার করা আবেদনের ওপর আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের ওপর নিম্ন আদালতের দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ গত ৫ ফেব্রুয়ারি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

 

এ অবস্থায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন জিয়াউল হক মৃধা। গতকাল এই আবেদনের ওপর চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়। আবেদনকারীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। আর জি এম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

 

গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর দলটির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাপার চেয়ারম্যানের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গতবছর ৪ অক্টোবর মামলা করেন জিয়াউল হক। এ মামলায় গতবছর ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন।

 

ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে জি এম কাদেরের করা আবেদন গতবছর ১৬ নভেম্বর খারিজ করে একই আদালত। এরপর এই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জি এম কাদের। এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার ওপর ৯ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু জি এম কাদেরের আইনজীবীরা শুনানির তারিখ এগিয়ে আনতে একই আদালতে আবেদন করেন।

 

গতবছর ২৪ নভেম্বর এই আবেদন খারিজ হয়। এরপর জি এম কাদেরের পক্ষে গতবছর ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হলে পরদিন ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন জিয়াউল হক। পরদিন ৩০ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতির আদালত এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

 

পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেন এবং নিম্ন আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে জেলা জজ আদালতে জি এম কাদেরের আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে গত ১৯ জানুয়ারি জি এম কাদেরের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয় ঢাকার জেলা জজ আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন জি এম কাদের।

 

জিয়াউল হক মৃধার মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

 

মামলায় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করার আদেশ চাওয়া হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version