-->
শিরোনাম
বিচারক-আইনজীবী বিরোধ

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ২১ আইনজীবীকে আবারো হাজির হতে হাইকোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ২১ আইনজীবীকে আবারো হাজির হতে হাইকোর্টের নির্দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বাবুলসহ ২১ আইনজীবী হাজির হলেন হাইকোর্টে। তবে আগামী পহেলা মার্চ আবারো তাদের হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই দিন তাদের হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। গতকাল নির্ধারিত দিনে ওই ২১ আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির হয়ে সময়ের আবেদন জানালে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

 

হাইকোর্টে হাজিরা হওয়া আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. মফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।

 

গত ৫ জানুয়ারি এবং ৮ জানুয়ারি আদালত চলার সময় বিচারকের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, বিচার বিঘ্নিত করা এবং বিচারকের মানহানি করার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে গত ৯ জানুয়ারি আবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজের এই আবেদন পাবার পর তা বিচারের জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এ আবেদনের ওপর গত ১০ ও ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি হয়। ১০ জানুয়ারির আদেশে ওই ২১ আইনজীবীকে তলব করা হয় ও তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা প্রশ্নে রুল জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ওই ২১ আইজীবী হাইকোর্টে হাজির হন।

 

এদিকে বিচারকের সঙ্গে অসৗজন্য আচরণের ঘটনার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন। অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আইনজীবীরা দুই বিচারক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন। একারণে স্থবির হয়ে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। এছাড়া আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বিবৃতি দেন। এমনাবস্থায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গেও বৈঠক করেন আইনজীবী নেতৃবৃন্দ। ওই বৈঠকের পর সব আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version