-->
শিরোনাম

বাংলাদেশে ফারাজ সিনেমা মুক্তি না দিতে হাইকোর্টে রিট: আদেশ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে ফারাজ সিনেমা মুক্তি না দিতে হাইকোর্টে রিট: আদেশ আজ

গুলশানের হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত ভারতীয় সিনেমা ‘ফারাজ’ বাংলাদেশের সিনেমা হল ও সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে। রিট আবেদনে অ্যামাজান ও নেটফ্লিক্সসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফারাজ সিনেমার প্রচার-প্রদর্শন বন্ধ চাওয়া হয়েছে।

 

বিচারপতি মো. খসরুজ্জমান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন। হলি আর্টিজানের ঘটনায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ এই রিট আবেদন দাখিল করেছেন। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট ফারজানা খান নীলা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

 

সিনেমাটিতে ফারাজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর। পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়াল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এটি তাদের অভিষেক চলচ্চিত্র। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির আলী, জুহি বব্বর, শচিন লালওয়ানি, পলক লালওয়ানি ও রেশম সাহানিসহ অনেকে।সিনেমাটির মধ্যে কী ধরনের উপাদান আছে, তা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দেখতে বলেন আদালত।

 

হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত ভারতীয় সিনেমা ফারাজ যাতে দেশের প্ল্যাটফর্মে মুক্তি না দেয়া হয়, সে দাবি করে আসছেন ওই ঘটনায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ।

 

রুবা আহমেদের অভিযোগ, তার নিহত মেয়ের প্রাইভেসি লঙ্ঘন করে, পরিবারের কোনো সম্মতি না নিয়ে ও ভুল তথ্য উপস্থাপন করে এই ফারাজ সিনেমা বানানো হচ্ছে। সিনেমার মুক্তি আটকাতে চেয়ে তিনি ভারতের আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে দিল্লি হাইকোর্টের একক বিচারপতির বেঞ্চ ফারাজ সিনেমার মুক্তির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন।

 

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের ১০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ফারাজ। হংসল মেহতা পরিচালিত সিনেমাটি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। এরপর সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সিনেমা মুক্তির স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে রিট করা হয়। ফারাজ সিনেমার মুক্তির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করেন ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট।

 

তবে আদালত শর্ত দিয়েছেন, ছবিটি পর্দায় দেখানোর সময় এ মর্মে একটি ‘ডিসক্লেইমার’ দিতে হবে যে, সিনেমাটি হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও এতে তুলে ধরা ঘটনাগুলো ‘সম্পূর্ণ কাল্পনিক’ (পিওর ওয়ার্ক অব ফিকশন)।

 

ভোরের আকাশ/নি

মন্তব্য

Beta version