গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর কারাদন্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এ আর্জি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, জি কে শামীমসহ আটজনের নামে অভিযোগ আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি বলে মনে করি।
আশা করছি, আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বো”চ ১২ বছর সাজা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আগামী ১৫ মার্চ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
জি কে শামীম ছাড়া এ মামলার অন্য আসামি হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এরপর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে জি কে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর নামে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের নাম চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
এরপর দ্বিতীয় কোনো মামলায় তাদের বিচার শেষ হতে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য