দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। ফলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণসহ পরবর্তী কার্যক্রমে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
হাইকোর্ট গত ১৫ মার্চ এক আদেশে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেট চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন রিট আবেদনকারীপক্ষ। আবেদনে গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রæয়ারি ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলমের স্বাক্ষরে গেজেট জারি করা হয়।
এই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান গত ৭ মার্চ ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরীসহ ৬ আইনজীবী গত ১২ মার্চ পৃথক রিট আবেদন দাখিল করেন। গত ১৫ মার্চ শুনানি শেষে রিট আবেদন দুটি খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৬০ দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সংবিধানের এই বিধানের আলোকে পরবর্তী (২২তম) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয় গত ২৪ জানুয়ারি।
আর ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
এরপর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতা দাখিল করেন। তিনি ছাড়া আর কেউ এ পদে প্রার্তী না হওয়ায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গেজেট জারি করে ইসি।
সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরের পাঁচ বছর তার পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কার্যভার গ্রহণ করেন।
সে মোতাবেক তার দায়িত্বের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য