-->
শিরোনাম
চট্টগ্রামের মিতু হত্যা মামলা

সাবেক এসপি বাবুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি ৩ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক এসপি বাবুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি ৩ মে

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামের মিতু হত্যা মামলায় নিহতের স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর আগামী ৩ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

 

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ দিন ধার্য করেন। বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত বছর ১৪ মার্চ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। গত বছর ৭ ডিসেম্বর ওই রুল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুনানির দিন পিছিয়ে ৩ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে গুলি করে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এসপি বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে এ দুজনের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের মূল ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে মুছার নাম উঠে আসে।

 

হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহতেশামুল হক ভোলা সরবরাহ করে বলে জবানবন্দিতে বলা হয়। মুছা ও ভোলা এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এরপর আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

এছাড়া এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম রাশেদ ও নুরুন্নবী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ওই বছর ৫ জুলাই তারা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। পরে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান ভোলা।

 

স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনার জেরে পুলিশের চাকরি ছাড়তে হয়েছে বাবুল আক্তারকে। ওই হত্যাকান্ডে বাবুল আক্তার জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। পুলিশ তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদও করে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে গত বছর জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআইর তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা উঠে আসে।

 

বাবুল আক্তারের মামলায় তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। এরপর ওই দিনই বাবুল আক্তারের শশুড় মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুলকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করেন। এ মামলায় ওই দিন বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর পিবিআই তাকে রিমান্ডে নেয়। সে থেকে বাবুল আক্তার কারাবন্দি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version