-->
শিরোনাম

কলেজছাত্রী ধর্ষণ: ৬ জনের মৃত্যুদন্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

নাটোর প্রতিনিধি
কলেজছাত্রী ধর্ষণ: ৬ জনের মৃত্যুদন্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

নাটোরের বড়াইগ্রামে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ জনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে। এই মামলার এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

 

বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ, নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।

 

নাটোরের কোর্ট ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম এবং ওই আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বড়াইগ্রামের ধানাইদহ এলাকার মুস্তাফিজুরের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ (১৮), একই উপজেলার জামাতিদিঘা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রেজাউনুল ওরফে রাব্বী (১৯), সিংড়া নাছিয়ারকান্দি এলাকার রশিদের ছেলে নাজমুল হক (১৯), একই উপজেলার মহিষমারী এলাকার কাদেরের ছেলে রাজিবুল হাসান (১৮), রিপন ও কলম এলাকার শহিদুল (২৫)।

 

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মহিষমারী এলাকার আয়চানের ছেলে মনিরুল (১৮), খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম ওরফে আতাউর ও রেজাউল করিম। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন নাছির। নাটোর কোর্ট ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী এবং আসামি সাব্বির একসঙ্গে পড়ালেখা করতেন।

 

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভিকটিমকে বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরের বন্ধু আসামি রাব্বীরের কাছে আসেন। সেখানে পৌঁছানোর পর অন্য আসামিদের ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

 

তিনি আরো জানান, ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম এবং অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করেন।

 

বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান জানান, আসামিদের মধ্যে তিন জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

রায় ঘোষণার সময় ছয়জন উপস্থিত ছিলেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version