-->
শিরোনাম

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রত্যেক শ্রমিকের আইনগত অধিকার: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রত্যেক শ্রমিকের আইনগত অধিকার: আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রত্যেক শ্রমিকের আইনগত অধিকার। এ অধিকার বাস্তবায়নে নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই।

 

শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।স্বাগত বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। এ সময় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ।’

 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষাবিধি পালন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে পেশাগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমানে কেবল সরকার বা কারখানার মালিকপক্ষের ইচ্ছের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণকে কেবল মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নেই। এটি এখন কারখানা মালিকপক্ষের জন্য দায়বদ্ধতায় পরিণত হয়েছে। মালিকপক্ষ ও শ্রমিক পক্ষ একসঙ্গে নিরাপদ এবং শোভন কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আমি বিশ্বাস করি এক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি কেউ ধরে রাখতে পারবে না।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য নিরাপদ ও শোভন রাখতে হবে, এটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নত বিশ্বের অভিমুখে যাত্রা করেছে, সেখানে পেশাগত সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। বর্তমানে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পালনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

 

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়োচিত সেই পদক্ষেপের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কারখানাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেই বর্তমান সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

 

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শিল্প কারখানা বেড়েছে কয়েক গুণ। তৈরি হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। এ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরও বিস্তৃত করার জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রে কল্যাণমূলক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করাসহ উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version