শিক্ষাবৃত্তির ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই মামলার তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-১-এর উপ-পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন সই করা এক চিঠিতে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মামলাটির তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন থেকে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়। আজকালের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
মামলার অভিযোগপত্রে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার গ্রেড-২ (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) কামরুজ্জামান এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা বৈদেশিক বাণিজ্যিক করপোরেট শাখার সহকারী অফিসার গ্রেড-২ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ হাসান ইমাম।
যাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, তারা হলেন তাজুল ইসলাম, মো. শাহ আলম, এ এস এম কবির, মো. রেজাউর রহমান ও মাসুদ শামীম আহমেদ। তারা সবাই সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য