ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিডেটের প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলায় ঢাকা ওয়াসার সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক(কো- চেয়ারম্যান, পিপিআই) মিঞা মো. মিজানুর রহমান, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক (সাবেক অফিস ব্যবস্থাপক, পিপিআই) মো. হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া এবং কম্পিউটার অপারেটর (আউটসোর্সিং) মো. নাঈমুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) প্রধান কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আশিকুর রহমান গতকাল ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর পক্ষে পিপিআই পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব হতে অবৈধভাবে দুইশ আটচল্লিশ কোটি পঞ্চান্ন লাখ বাইশ হাজার নয়শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে:
‘‘আমি মোঃ আশিকুর রহমান, সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এই মর্মে এজাহার দায়ের করছি যে, আসামি (১) মিঞা মোঃ মিজানুর রহমান (৬২), সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক, ঢাকা ওয়াসা এবং কো-চেয়ারম্যান চচও প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদ, পিতা- মরহুম সিরাজুল ইসলাম মিঞা, মাতা- মরহুমা আনোয়ারা বেগম, বর্তমান ঠিকানা: ৭৬, ইন্দিরা রোড, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম- দৌলতপুর, ডাকঘর- পাঁচগাছিয়া- ৩৫১৬, উপজেলা- দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা (২) মোঃ হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া (৫৯), সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক, ঢাকা ওয়াসা ও সাবেক অফিস ব্যবস্থাপক, পিপিআই পরিচালনা পর্যন, পিতা- মৃত ইলিয়াস ভূঁইয়া, মাতা- মৃত ওয়াজিদা খাতুন, বর্তমান ঠিকানা। বাসা নং- ৩৭, রোড নং- ২, সেক্টর- ১৩, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম- স্বর্ণাটিলা, ডাকঘর ও থানা লংগেদু, জেলা- রাঙ্গামাটি, (৩) মোঃ নাঈমুল হাসান (৫১), কম্পিউটার অপারেটর (আউটসোর্সিং), জোন- ৬, ঢাকা ওয়াসা, পিতা- মৃত আব্দুল হান্নান, মাতা- মোসাম্মত নূরুন বেগম, বর্তমান ঠিকানাঃ বাসা- ১০৭/১/ডি, পূর্ব বাসাবো, ডাকঘর- বাসাবো- ১২১৪, সবুজবাগ, ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর- মৃতুরা শরীফ, থানা- আখাউড়া, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়াগণ ০১/০১/২০১০ খ্রি. তারিখ হতে ৩১/১২/২০২০ খ্রি. তারিখের মধ্যে অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজসে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করত: ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর পক্ষে পিপিআই পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব হতে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে সর্বমোট ২৪৮,৫৫,২২,৯০০/- (দুইশত আটচল্লিশ কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ বাইশ হাজার নয়শত) টাকা আত্মসাৎ করত। দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
ঘটনার বিবরণ, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়, ঢাকার খ ০০,০১,২৬০,৬০,০১.২০১.২২ সংক্রান্ত অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী ভোগ্যপণ্য সরবরাহ সমবায় সমিতি লিঃ (২০০৫ সালে উপ আইন সংশোধনীর মাধ্যমে সমিতির নাম ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ নামে নামকরণ করা হয়) ১৯৭৩ সালে সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন লাভ করে। পরবর্তীতে উক্ত সমিতি ঢাকা ওয়াসার পিপিআই (চৎড়মৎধসসব ভড়ৎ চবৎভড়ৎসবহপব ওসঢ়ৎড়াবসবহঃ) প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব আদায় কার্যক্রম নীজ আউট করে বিলিং ও রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে তৎকালে আদায়কৃত হারের চেয়ে ১৫% বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ২৫/১১/১৯৯৬ খ্রি. তারিখে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বনাম ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী ভোগ্যপণ্য সরবরাহ সমবায় সমিতি লিঃ এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রাথমিকভাবে জোন-৫ ও পর্যায়ক্রমে জোন- ৩, ৪, ৮, ৯, ১০ ও সর্বশেষ জোন ও এর রাজস্ব আদায়, পানির মিটার স্থাপন, বিশিংসহ রাজস্ব আদায়ের সার্বিক দায়িত্ব সম্পাদন চুক্তিবদ্ধ হয়ে চুক্তি মোতাবেক পিপিআই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ওয়াসার বিলিং এবং মিটার এর জন্য প্রয়োজনীয় জন যাবতীয় খরচ বহন করবে এবং টেন্ডার ডকুমেন্টে বর্ণিত ও নির্ধারিত কমিশন বাবদ অর্থ পিপিআই কারী সংস্থা পাবে। এ কর্মসূচীতে নির্ধারিত কমিশন প্রথম পর্যায়ে আদায়কৃত মোট বিলের ৬% এবং পরবর্তীতে এ হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ১০% করা হয়। অনুসন্ধানকালে দেখা যায় পিপিআই প্রকল্পের পরিচালন ব্যয় নির্বাহ শেষে প্রতি বছর লভ্যাংশ চুক্তি স্বাক্ষরকারী সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে বন্টনের উদ্দেশ্যে থাকলেও তা যথাযথভাবে প্রদান করা হয়নি। ফলে উক্ত লভ্যাংশ হতে সাধারণ সদস্যগণ বঞ্চিত হয়েছেন যা সমিতি গঠনের উদ্দেশ্য লঙ্ঘিত করেছে।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে ০১/০১/২০১০ খ্রি. তারিখ থেকে ৩০/১২/২০২০ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক আয়কর বাবদ ২৪, ৬১,৭৮, ২৯৬/- (চব্বিশ কোটি একষটি লক্ষ আটাত্তর হাজার দুইশত ছিয়ানব্বই) টাকা, ভ্যাট বাবদ ৪০,৫৬,৭৭,৬৭৩/- (চল্লিশ কোটি ছাপ্পান্ন লক্ষ সাতাত্তর হাজার ছয়শত তিয়াত্তর) টাকা এবং অন্যান্য খাতে (অফিস ভাড়া, মোবাইল কোর্ট বাবদ খরচ মিটার টেস্টিং ফি ইত্যাদি) কর্তন বাবদ মোট প্রায় ৪,৪৮,৩০,৪৬০/- (চার কোটি আটচল্লিশ লক্ষ ত্রিশ হাজার চারশত ষাট) টাকা কেটে রেখে সর্বমোট ৩,৫৪,১৬,৬৯,৪২৯/- (তিনশত চুয়ান্ন কোটি খোল লক্ষ উনসত্তর হাজার চারশত ঊনত্রিশ) টাকা জনতা ব্যাংক লিঃ, কারওয়ান বাজার কর্পোরেট শাখার চলতি হিসাব নং- ০১০০০০০৪০২০৬৫ এর মাধ্যমে বর্ণিত সমিতিকে প্রদান করা হয়েছে। প্রদানকৃত বিলসমূহ ঢাকা ওয়াসার 'নিজ আউট জোন' খাত (পিপিআই রাজস্ব জোনের পেমেন্টের জন্য রক্ষিত অর্থ) হতে প্রদান করা হয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১১ বছরের মধ্যে ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে মাত্র ৪ (চার) বার সর্বমোট ২,৫৭,৯৫,৮৪৩ (দুই কোটি সাতান্ন লক্ষ পঁচানব্বই হাজার আটশত তেতাল্লিশ) টাকা সদস্যদের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে। পিপিআই পরিচালনা কমিটি প্রতি বছর পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ করে। বিপুল পরিমান টাকা লাভ করার পরও নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করেনি। ফলে সমিতি গঠনের মূল উদ্দেশ্য লঙ্ঘিত হয়েছে এবং সদস্যদের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা কমিটি ও পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা প্রতারণা করে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। পিপিআই প্রকল্পের বিল বাবদ ঢাকা ওয়াসা হতে প্রাপ্ত ৩৫৪১৬,৬৯,৪২৯/- টাকা বায়ের বিষয়ে উক্ত সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি, পিপিআই পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যাংক হিসাব
পরিচালনাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ব্যয়ের হিসাব বা খাত উল্লেখ বা প্রমাণক অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি। উক্ত ব্যাংক হিসাবটির বর্ণিত সময়ের স্টেটমেন্ট, উক্ত সময়ের অডিট রিপোর্ট, সমিতির ক্রয়কৃত অন্যান্য সম্পদ রেজিস্টার, পিপিআই প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস, সমিতির সদস্যদের প্রদানকৃত ডিভিডেন্ট, ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ, আসবাবপত্র ক্রয়, যানবাহন ক্রয়, স্থাপনা বাবদ ব্যয়ের তথ্য পর্যালোচনান্তে বর্ণিত সময়ে সর্বমোট ৯৫,০১, ৮৮,৭১৫/- (পঁচানব্বই কোটি এক লক্ষ আটাশি হাজার সাতশত পনেরো) টাকা ব্যয়ের রেকর্ড পাওয়া যায়। এছাড়াও উক্ত সময়ে ব্যাংক হিসাবটিতে স্থিতি ছিল ১০, ৫৯, ৫৭, ৮১৪/- (দশ কোটি ঊনষাট লক্ষ সাতান্ন হাজার আটশত চৌদ্দ) টাকা। সুতরাং আত্মসাতকৃত অর্থের পরিমান (মোট প্রাপ্ত ৩৫৪,১৬,৬৯, ৪২৯ - মোট ব্যয় ৯৫,০১,৮৮,৭১৫ - মোট স্থিতি ১০, ৫৯, ৫৭, ৮১৪) = ২৪৮, ৫৫, ২২, ৯০০/- (দুইশত আটচল্লিশ কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ বাইশ হাজার নয়শত) টাকা।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে মো: হাফিজ উদ্দিন পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে তিনি ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে মো: হাফিজ উদ্দিন অসুস্থ হলে ঢাকা ওয়াসার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১০ সাল হতে ২০২০ সাল অবধি ব্যাংকটির হিসাব পরিচালনাকারীর তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায় অত্র হিসাবের পরিচালনাকারী ছিলেন সমিতির সভাপতি ও পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজ উদ্দিন এবং পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের কো-চেয়ারম্যান মিঞা মোঃ মিজানুর রহমান এবং পরবর্তীতে মোঃ হাফিজ উদ্দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে ৭/১১/২০১৮ তারিখ হতে পরবর্তী ৩১/১২/২০২০ তারিখ পর্যন্ত অত্র হিসাবের পরিচালনাকারী ছিলেন পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোঃ আক্তারুজ্জামান এবং কো-চেয়ারম্যান মিঞা মোঃ মিজানুর রহমান। অপরদিকে পিপিআই প্রকল্পের ব্যাংক হিসাব থেকে লাইফ লাইন শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিঃ নামীয় অপর একটি কথিত সমবায় সমিতির এক্সিম ব্যাংক লিঃ, পল্টন শাখার চলতি হিসাব নং- ০৪৫১১১০০০৬৪৪১১ এর মাধ্যমে ২,৭৬,৩৩,৭০০/- (দুই কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ তেত্রিশ হাজার সাতশত) টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং উক্ত হিসেবের পরিচালনাকারী ছিলেন যথাক্রমে মোঃ হাবীব উল্লাহ ভূঁইয়া এবং মোঃ নাঈমুল হাসান। মোঃ হাবীব উল্লাহ ভূঁইয়া সমিতির পক্ষে পিপিআই প্রকল্পের অফিস ব্যবস্থাপক হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং উক্ত প্রকল্পের সমস্ত হিসাব নিকাশ ও রেকর্ডপত্র নিজে সংরক্ষন করতেন মর্মে জানা যায়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় মো: হাফিজ উদ্দিন ও মিঞা মো: মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে যে সকল চেক ব্যাংকে প্রেরণ করা হতো তার অধিকাংশই মোঃ হাবীব উল্লাহ ভূঁইয়া নিজে স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতে সহায়তা করেছেন।
এমতাবস্থায়, আসামি (১) মিঞা মো: মিজানুর রহমান (৬২), সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক, ঢাকা ওয়াসা এবং কো- চেয়ারম্যান চচও প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদ, পিতা- মরহুম সিরাজুল ইসলাম মিঞা, মাতা- মরহুমা আনোয়ারা বেগম, বর্তমান ঠিকানা: ৭৬, ইন্দিরা রোড, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম- দৌলতপুর, ডাকঘর- পাঁচগাছিয়া- ৩৫১৬, উপজেলা- দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা; (২) মো: হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া (৫৯), সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক, ঢাকা ওয়াসা ও সাবেক অফিস ব্যবস্থাপক, পিপিআই পরিচালনা পর্ষদ, পিতা- মৃত ইলিয়াস ভূঁইয়া, মাতা- মৃত ওয়াহিদা খাতুন, বর্তমান ঠিকানা: বাসা নং- ৩৭, রোড নং- ২, সেক্টর- ১৩, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম- ঝর্ণাটিলা, ডাকঘর ও থানা লংগেদু, জেলা- রাঙ্গামাটি; (৩) মোঃ নাঈমুল হাসান (৫১), কম্পিউটার অপারেটর (আউটসোর্সিং), জোন- ৬, ঢাকা ওয়াসা, পিতা- মৃত আব্দুল হান্নান, মাতা মোসাম্মত নূরুন বেগম, বর্তমান ঠিকানা: বাসা- ১০৭/১/ডি, পূর্ব বাসাবো, ডাকঘর- বাসাবো- ১২১৪, সবুজবাগ, ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর- ছুতুরা শরীফ, থানা- আখাউড়া, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়াগণ ০১/০১/২০১০ খ্রি. তারিখ হতে ৩১/১২/২০২০ খ্রি. তারিখের মধ্যে অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজসে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করত: ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর পক্ষে পিপিআই পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব হতে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে সর্বমোট ২৪৮, ৫৫, ২২,৯০০/- (দুইশত আটচল্লিশ কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ বাইশ হাজার নয়শত) টাকা আত্মসাৎ করতঃ দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ মামলার তদন্তকালে আলোচ্য অর্থ আত্মসাতের সহিত অন্য কোন ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনয়ন করা হবে।’’
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য