সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে সকল মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি ও সকল মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী পহেলা জুন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন। মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান।
আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে সুপ্রিম কোর্ট ও বার অ্যাসোসিয়েশন প্রাঙ্গণে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন করতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এ সেবা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি অজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড-কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে সকল মোবাইল ফোন অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর গতবছর ২৬ অক্টোবর আইননি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এই নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। এখানে হাজারো আইনজীবী তাদের পেশাগত কাজ করছেন। বিচারপ্রার্থীসহ দেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এ অঙ্গনে আসছেন। শতাধিক বিচারপতি তাদের বিচারিক কাজ করছেন। এখানে আগত প্রত্যেকেই তাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। পেশাগত কাজে অনেকেই তাদের মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সম্প্রতি এ অঙ্গনে সব অপারেটরের নেওয়ার্ক না থাকায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এ অবস্থায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য