-->
শিরোনাম

সুপ্রিম কোর্টে নতুন আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুপ্রিম কোর্টে নতুন আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

‘ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট’ নামে আইনজীবীদের নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে আহ্বায়ক ও গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে এই সংগঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

 

সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি, গণফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে গড়ে ওঠা ঐক্য ফ্রন্ট সমর্থক আইনজীবীরাই এই নতুন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন কিছু প্রগতিশীল আইনজীবী।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সংগঠনের তিন দফা কর্মসূচি ঘোষনা করেন। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, লুণ্ঠিত ভোটাধিকার, সার্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও আইনজীবীদের মর্যাদা রক্ষায় এই সংগঠন করা হয়েছে।

 

কমিটির অপরাপর সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, এ. এম. মাহবুব উদ্দীন খোকন, গরীব এ নেওয়াজ, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কায়সার কামাল (প্রধান সমন্বয়কারী), কে. এম. জাবির, মাসুদ আহমেদ তালুকদার (সাবেক সভাপতি, ঢাকা বার), মো. বদরুদ্দোজা বাদল, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, শাহ আহম্মেদ বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, গোলাম রহমান ভুইয়া, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, শফি উদ্দিন ভূঁইয়া, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, হাসনাত আব্দুল কাইয়ুম, মো. নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ মামুন মাহবুব (সমন্বয়কারী), গাজী কামরুল ইসলাম সজল (সমন্বয়কারী), এ.বি.এম. রফিকুল হক তালুকদার রাজা (সমন্বয়কারী), মো. ইউসুফ আলী, ইকবাল হোসেন (সাবেক সভাপতি, ঢাকা বার), খোরশেদ মিয়া আলম (সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বার), এস.এম. বদরুল আনোয়ার (চট্টগ্রাম), নাজিম চৌধুরী (সভাপতি চট্টগ্রাম বার), মো. ইসহাক (সভাপতি যশোর বার), ওমর ফারুক ফারুকী (সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বার), মো. শাহজাহান, মো. হেলাল উদ্দিন, এস. এন. গোস্বামী, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, নাসিম খান, জিসান মোহসিন ও মো. রেজাউল ইসলাম রিয়াজ।

 

কমিটি ঘোষনার পর অ্যাডভোকেট এস. এন. গোস্বামী তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাকে না জানিয়েই কমিটিতে নাম অন্তর্ভক্ত করা হয়েছিল।

 

তিন দফা কর্মসূচিতে বলা হয়, ১. সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং নির্মোহভাবে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, লুণ্ঠিত ভোটাধিকার, সার্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনজীবীদের মর্যাদা রক্ষা, পেশাগত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা, বিচার অঙ্গনের দুর্নীতির মূলোৎপাটনসহ সারা দেশের আইনজীবী সমিতিগুলো যেন স্বাধীন ও নির্ভীকভাবে আইনজীবীদের সম্মান ও স্বার্থ সংরক্ষণ রক্ষা করতে পারে, সেজন্য দেশব্যাপী আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত করা হবে। ‘আইনজীবী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নে কাজ করা হবে। ২. বাংলাদেশের সব বারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মাধ্যমে সারা দেশের আইন অঙ্গনের পরিবেশ শান্ত রাখা। কোনো অবস্থাতেই যেন বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুপ্রবেশ না করতে পারে ও দেশের সব বারে যাতে বহিরাগতদের প্রবেশ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। এবং ৩. যেহেতু চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বারে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, তাই সাংবিধানিক সংকট পূরণের লক্ষ্যে গত ৩০ মার্চ বারের সদস্যদের সংবিধানের ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী তলবী সাধারণ সভার মাধ্যমে একটি অন্তর্র্বতীকালীন কমিটি ঘোষিত হয়। সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যারিস্টার এম. আমির-উল- ইসলাম। সংবিধান অনুযায়ী এই কমিটি হচ্ছে বারের কমিটি।

 

ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী মোর্চা এই কমিটি অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট বারের কমিটির সব ধরনের কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া প্রত্যেক বার সমিতিতে যেন আইনজীবীরা সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে প্রত্যেক বারে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তুলবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version